পন্ডিত অনিমেষ শাস্ত্রী
সনাতন ধর্মশাস্ত্র অনুসারে জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের আবির্ভাব দিবস পালনের কয়েক দিন পরেই এবার শ্রীরাধিকার জন্মদিবস। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাধার জন্ম হয়েছি বলে মনে করা হয়। এই দিনটিকে রাধাষ্টমীহিসেবে পালন করা হয়।
কথিত আছে, একসময় সূর্যদেব পৃথিবী ভ্রমণ করতে আসেন। সেই সময় পৃথিবীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তিনি মন্দর পর্বতের গুহায় গভীর তপস্যায় মগ্ন হন। সূর্যদেব দিনের পর দিন তপস্যায় রত থাকায় পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। স্বর্গের দেবতারা তখন সৃষ্টি রক্ষার জন্য শ্রীহরির স্মরণাপন্ন হন। ভগবান বিষ্ণু সূর্যের সামনে এসে তাঁর ধ্যান ভঙ্গ করেন ও তাঁকে বর দিতে চান।
সূর্যদেব তাঁকে বলেন, ‘আমাকে এমন একটি গুণবতী কন্যা দিন যার কাছে আপনি চিরকাল বশীভূত থাকবেন।’ শ্রীহরি তাঁকে তথাস্তু বলে সেই বর প্রদান করেন। শ্রীহরি সূর্যকে বলেন যে পৃথিবীর ভার লাগবের জন্য তিনি দেবকী ও বসুদেবের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করবেন এবং বৃন্দাবনে নন্দালয়ে পালিত হবেন। সূর্যদেব সেখানে বৃষভানু রাজা হিসেবে জন্ম নেবেন।
এই বৃষভানুর মেয়ে হিসেবেই জন্ম হয় শ্রীরাধিকার। এই ত্রিলোকে শ্রীহরি একমাত্র রাধারই বশীভূত। শ্রীকৃষ্ণ সবাইকে আকর্ষণ করেন, কিন্তু রাধাই একমাত্র শ্রীকৃষ্ণকে আকর্ষণ করতে পারেন। বৃন্দাবনের বর্ষাণা এলাকার রাভেলে এই দিনেই জন্ম হয়েছিল শ্রীরাধিকার। একাধিক পুরানে এই রাধাষ্টমীর মহিমা বর্ণিত নানা ভাবে হয়েছে।
কৃষ্ণপ্রেমে ডুবতে হবে বা কৃষ্ণ ভাবনামৃত পান করতে হলে শ্রী রাধিকাকে বুঝতে হবে কারন তারা এক ও অভিন্ন|আপনাদের সবাইকে আমার ও আমার পরিবারের তরফ থেকে রাধাষ্টমীর অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|আনন্দে থাকুন আনন্দ হি কেবলম|