পন্ডিত অনিমেষ শাস্ত্রী
প্রতিটা ফিল্ডে বা প্রতিটা পেশায় কিছু রোল মডেল থাকে, আইকন থাকে যারা সেই পেশাকে তাদের গবেষণা দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে, সাধনা দিয়ে একটা মজবুত ভিত্তি প্রদান করে। তারা অনেকেই হয়তো তাৎক্ষণিক ভাবে নাম যশ খ্যাতি পাননা কিন্তু তাদের সেই ত্যাগের ফল ভোগ করে পরবর্তী প্রজন্ম। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রে
ঋষি ভৃগু, ঋষি পরাশর,ঋষি কনাদ, অষ্টবক্রমুনি,বরাহমিহির,আর্যভট্ট,লিলাবতী। এরা সেই ভূমিকাটাই পালন করেছেন।
হাজার হাজার বছরের ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র আজ উন্নতির ও সাফল্যর শীর্ষে অবস্থান করছে এবং তার ফল আমরা সবাই কম বেশি ভোগ করছি।কিন্তু তার সোনালী ইতিহাস ভুলে গেলে চলবেনা।কোনো রকম আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া গ্রহের রং তার তত্ত্ব এবং পৃথিবীথেকে তাদের দূরত্ব মেপে ফেলে মাবব জীবনে তাদের প্রভাব নির্ণয় করা যে কি কঠিন কাজ ছিলো তা আজ এই কম্পিউটারের যুগে বসে সহজেই কল্পনা করাযায়।
ক্যালকুলেসন, অবসেরভেশন, প্রেডিকশন এবং রিমেডি এই চারটি বিভাগেই সেকালের জ্যোতিষীরা যে নিখুঁত গবেষনা ও দক্ষতা দেখিয়েছে তা অভাবনীয়।
পরাশরের গাণিতিক তত্ত্ব বা ভৃগু সংহিতার জটিল নাক্ষত্রিক বিশ্লেষণ। কিম্বা আর্যভট্টর জ্যোতির্বিদ্যার প্রয়োগ।আমরা যারা আজকে ঠান্ডা ঘরে বসে প্রযুক্তির ব্যবহার করে জ্যোতিষ চর্চা করি তারা এই সব কিছুর কাছে ঋণী এবং সেই ঋণ শোধ করা অসম্ভব। তবুও এই মহান জ্যোতিষ
শাস্ত্রের গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে যতটা লেখা যায় লিখছি । ধীরে এগিয়ে কৃষ্ণমূর্তি সাহেব এবং বি ভি রমণ অবধি পৌছাবো। তারপর বর্তমান সময়ের জ্যোতিষ চর্চার ভালো মন্দ নিয়েও অনেক কিছু বলার আছে।চেষ্টা করবো সাধ্য মতো।
আজ ভূমিকা করে গেলাম। বড়ো সাবজেক্ট। তাই ধাপে ধাপে এগোনোই ভালো। ফিরে আসবো পরের পর্ব নিয়ে। আলোচনা হবে জ্যোতিষ শাস্ত্রের সেকাল ও একাল নিয়ে। চোখ রাখুন রোজনামচার জ্যোতিষ বিভাগে।