পন্ডিত অনিমেষ শাস্ত্রী
কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন|খুব একটা বাজে কথা নয় কিন্তু|দূর্গা পুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই মা লক্ষীর আগমন বাংলার ঘরে ঘরে|আজ কোজাগরী লক্ষী পুজো|আপনাদের সবাইকে কোজাগরী লক্ষী পুজোর অনেক শুভেচ্ছা|
এই কোজাগরী শব্দ টি এসেছে কে জাগেরে থেকে|আমাদের বিশ্বাস এই দিন শাস্ত্র মতে দেবী লক্ষীর আরাধনা করলে ও রাত্রি জাগরণ করে দেবী লক্ষীকে আহ্বান জানালে তিনি গৃহে অবস্থান করেন|আর যে গৃহে লক্ষীর অবস্থান সে গৃহ সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তিতে ভড়ে ওঠে|
লক্ষ্মী নামটির উৎপত্তি হয়েছে ‘লক্ষ’ থেকে যার অর্থ ‘নিরীক্ষণ করা দেবী তার ভক্তদের জীবন পরিবর্তনের সুযোগ গুলি নিরীক্ষণ করার জন্য এবং অনুধাবন করার জন্য এবং সেগুলিকে ফলপ্রদভাবে ব্যবহার করে জীবনে সফল হওয়ার পথপ্রদর্শন করেন তাই তিনি লক্ষী|
দেবী লক্ষী একাধারে পৌরাণিক ও লৌকিক দেবী কারন পুরান অনুসারে সমুদ্র মন্থন কালে অমৃতের সাথেই তার আবির্ভাব আবার আমাদেরও ব্রত কথায় বা লৌকিক কাহিনীতে তিনি আমাদের ঘরের মেয়ে|
তিনি ধনের দেবী, সম্পদের দেবী এবং শান্তির দেবী|আবার তার আটটি ভিন্ন রূপ আছে যাকে আমার একত্রে অষ্ট লক্ষী বলি|এই প্রতিটি রূপের নিজস্ব আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাও রয়েছে|সেই বিস্তারিত তাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় আজ যাবোনা|সে আলোচনা তোলা থাকলো ভবিষ্যতের জন্য|
আজ অন্তর থেকে দেবী লক্ষীকে ডাকার দিন, তার কাছে প্রার্থনা করার দিন|দেবী লক্ষ্মীর স্বর্গীয় উপস্থিতি আপনার সব সস্বপ্ন সত্যি করবে।আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে লক্ষী পুজোর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন|